প্রতিনিধি ২২ অক্টোবর ২০২৫ , ৯:৪৭:১২ অনলাইন সংস্করণ
শেখ কামরুল ইসলামঃ
সাতক্ষীরার তালা উপজেলার কুমিরা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি শেখ মো. গোলাম মোস্তফাকে জড়িয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের দাবি, রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের ব্যর্থতায় একটি মহল তাঁর বিরদ্ধে পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা তথ্য প্রচার করছে। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযে-গেমাধ্যম ও কিছু সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, মোস্তফা চেয়ারম্যানের ‘ইন্ধনে’ কুমিরা শ্মশানের খাল দখলের চেষ্টা স্থানীয় চলছে। তবে এ অভিযোগকে ও রাজনৈতিক ভিত্তিহীন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। এ বিষয়ে শেখ গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘এই শশ্মশান প্রতিষ্ঠায় আমার পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। আমার বাবা আতিয়ার রহমান ও আমি, দুজনেই কুমিরা ইউনিয়নের হিন্দু সম্প্রদায়ের ভোটে বহুবার নির্বাচিত হয়েছি। আমার নামে কোনো ডিসিআর (ডেপুটি কমিশনারের রেকর্ড) জমি নেই, শ্মশানের জমি সংক্রান্ত কোনো বিষয়েও আমি অবগত নই।’
তিনি আরও বলেন, ‘কয়েক দিন আগে শ্মশান কমিটির সভাপতি ঠিকাদার তাপস বাবু ফোনে আমাকে জানান যে, আমার ছোট ভাই জাকারিয়া ও ভাগবাহ গ্রামের কামাল বিষয়টি নিয়ে জটিলতা তৈরি করছে। আমি সঙ্গে সঙ্গে জানিয়েছি-লাম, আমি কথা বলে বিষয়টি দেখে নিচ্ছি। তবে জমির কাগজপত্র ও আইন অনুযায়ী যার নামে ডিসিআর, তিনি-ই জমির মালিক। কুমিরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান বলেন, ‘মোস্তফা চেয়ারম্যানকে জড়িয়ে যে খাল দখলের সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও মনগড়া। আমরা কখনো দেখিনি তিনি বা তাঁর পরিবার কারও ক্ষতি করেছেন। হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক সবসময় আন্তরিক। স্থানীয় শ্রমিকদলের সদস্য সচিব মো. শফিকুল ইসলাম জানান, ‘আমার জানা মতে মোস্তফা চেয়ারম্যানের নামে কোনো ডিসিঅ- ার নেই। হয়তো কামাল হোসেনের পিতার নামে ওই জমি রয়েছে। কামাল মাঝে মাঝে ওই জায়গায় যাতায়াত করে। কুমিরা এলাকার কয়েকজন হিন্দু সম্প্রদায়ের ব্যক্তি বলেন, ‘মোস্তফা চেয়ারম্যান আমাদের সবার প্রিয় মানুষ। তাঁর ও তাঁর পিতার সময় আমরা বিপুল ভোটে তাঁদের নির্বাচিত করেছি। তাঁর বিরুদ্ধে প্রকাশিত খাল দখলের খবরটি মিথ্যা ও দুঃখজনক।’
স্থানীয় রাজনৈতিক মহল ধারণা করছে, আসন্ন তালা উপজেলা বিএনপির কমিটিকে কেন্দ্র করে শেখ গোলাম মোস্তফাকে ঘিরে একটি মহল ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। তালা।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয়টি তদন্ত করা হবে। প্রয়োজ-(ইউএনও) দিপা সরকার বলেন, নীয় সিদ্ধান্ত আইন অনুযায়ী নেওয়া ‘জমির কাগজপত্র যাচাই করে হবে।’

















