প্রতিনিধি ২২ অক্টোবর ২০২৫ , ৭:৫৯:৫০ অনলাইন সংস্করণ

সম্প্রতি কিছু গণমাধ্যমে “বৈকারী ভূমি অফিস শাহিনের দখলে” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যমূলক এবং বিভ্রান্তিকর। আমি নায়েব মোঃ আব্দুল বারী, বৈকারী ভূমি অফিসে দায়িত্বে আছি— উক্ত প্রতিবেদনে আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা বাস্তবতার সঙ্গে কোনোভাবেই সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
আমি স্পষ্টভাবে জানাচ্ছি, আমার সরকারি আইডি, পাসওয়ার্ড কিংবা অন্য কোনো অফিস সংক্রান্ত গোপন তথ্য কখনোই কারো হাতে তুলে দেওয়া হয়নি, এবং আমার আইডি শুধুমাত্র আমি নিজেই ব্যবহার করি। বর্তমানে ভূমি সেবা কার্যক্রম সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজড — ফলে যেকোনো ভূমি মালিক ভূমি উন্নয়ন কর বা খাজনা অনলাইনে নিজে থেকেই পরিশোধ করে দাখিলা সংগ্রহ করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে আমাদের অফিসের আইডি ব্যবহারের প্রয়োজন হয় না।
সংবাদে উল্লিখিত শাহিন নামের ব্যক্তি একজন ভূমি সেবা কেন্দ্রের অনুমোদিত উদ্যোক্তা, যিনি সরকারের নির্ধারিত বিধি অনুযায়ী অনলাইন সেবাগ্রহীতাদের সহযোগিতা করে থাকেন। তিনি কোনোভাবেই সরকারি কর্মচারী নন এবং অফিসের প্রশাসনিক কাজ বা সিদ্ধান্ত গ্রহণের সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে আমি অফিসে উপস্থিত না থাকি বা বহিরাগত দিয়ে কাজ করাই — এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অসত্য ও মানহানিকর। আমি নিয়মিত অফিসে উপস্থিত থেকে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করছি। অফিসের যাবতীয় কাজ ভূমি ব্যবস্থাপনা স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি (Land Management Automation) এর মাধ্যমে সম্পন্ন হয়, যেখানে প্রতিটি লেনদেনের পূর্ণাঙ্গ রেকর্ড সংরক্ষিত থাকে।
আমি দৃঢ়ভাবে বলছি, অবৈধ অর্থ গ্রহণ, অনিয়ম বা বহিরাগতকে ক্ষমতা প্রদান – এই অভিযোগগুলো কাল্পনিক ও দায়িত্বহীন। এই ধরনের বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদন শুধুমাত্র প্রশাসনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ ও জনগণের মাঝে ভুল ধারণা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে প্রকাশ করা হয়েছে।
আমি অনুরোধ করছি, প্রকৃত তথ্য যাচাই না করে এ ধরনের বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য এবং ইতিমধ্যে প্রচারিত সংবাদের যথাযথ সংশোধন ও প্রতিবাদ প্রকাশের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
প্রতিবাদকারী,
মোঃ আব্দুল বারী
নায়েব,সহকারী ভূমি কর্মকর্তা, বৈকারী -ঘোনা
সাতক্ষীরা, সদর সাতক্ষীরা।

















