প্রতিনিধি ১৫ অক্টোবর ২০২৫ , ৪:১৩:১৩ অনলাইন সংস্করণ
স্টাফ রিপোর্টার॥ আশাশুনিতে অভিযোগকারীকে ভয়ভীতি ও ভুল বুঝিয়ে বিভিন্ন কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে নেওয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল আশাশুনি প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী বলেন, আমি সাতক্ষীরা আশাশুনি উপজেলায় গোকুলনগর গ্রামের মোছাঃ নারগীছ পারভীন (প্রতিবন্ধি)। বিগত ২০১৭ ইং সালে তাহার নামে একটি প্রতিবন্ধি কার্ড হয়। কার্ড পাওয়ার পরেও অধ্যবদি কোন ভাতার টাকা পাই নাই। এজন্য আমি এবং আমার স্বামী দীর্ঘদিন ভাতার টাকা পাবার আশায় অসংখ্যবার ইউনিয়ন পরিষদে উদোক্তা আসমা খাতুনের শরনাপন্ন হই। সে বলে এখনও আপনার স্ত্রীর একাউন্টে টাকা পৌঁছায় নাই, আসলে জানতে পারবেন। এভাবে বছরের পর বছর কেটে যায়। পরবর্তীতে আমি উপজেলা সমাজসেবা অফিসে এসে জানতে পারি যে, আমার স্ত্রীর প্রতিবন্ধী কার্ডের বিপরিতে যে মোবাইল নম্বর দেওয়া হয়েছে সেটি রেজিষ্ট্রেশন করা উদ্যোক্তা আসমা খাতুনের মা আকলিমা খাতুনের নামে। যার মোবাইল নম্বর ০১৯১০-২৬১৯৬৬। আমি টাকা ফেরত পাওয়া সহ আসমা খাতুনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আবেদন জানিয়ে আশাশুনি থানায় ১৬-০৯-২০২৫ ইং তারিখে ৭৫৪ নং একটি সাধারণ ডায়েরি করি।
এ ঘটনাসহ আসমা খানুনের অন্যান্য দুর্নীতির বিরুদ্ধে স্থানীয় ইউনিয়ন বাসী একাধিক মানব বন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে। প্রতিবাদকারীরা ইতিমধ্যেই সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মহোদয় সহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে আসমার টাকা আত্মসাৎ ও বিভিন্ন দূর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত চলাকালীন সময়ে আমার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে হঠাৎ অদ্য ১৪/১০/২০২৫ ইং তারিখে সকাল ১১ টার দিকে ইউপি চেয়ারম্যান আবু দাউদ ঢালী, ইউপি সদস্য সোহরাব হোসেন, কামরুল ইসলাম, এবং কয়েকজন গ্রাম পুলিশ সাথে নিয়ে আমার বাড়ি এসে আমাকে টাকা ফেরত দিবে বলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে ও ভয়ভীতি দেখিয়ে একাধিক কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। স্বাক্ষরের সময় বিভিন্ন মোবাইলে ভিডিও ধারণ করায় আমিসহ আমার পরিবার ভবিষ্যতে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কায় ভীত সন্ত্রস্থ হয়ে পড়েছি। সকল প্রকার সরকারি সাহায্য সহযোগিতা বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। প্রিয় সাংবাদিক ভায়েরা,আমি একজন প্রতিবন্ধী মানুষ। আমার প্রাপ্য অধিকার টুকু চাওয়া কি আমার কোন অপরাধ? দুর্নীতিবাজ আসমা খাতুনকে রক্ষার জন্য একাধিক ইউপি সদস্য ও স্থানীয় গ্রাম পুলিশদের সাথে নিয়ে আমার বাড়ি যেয়ে আমার পরিবারের সাথে এরুপ আচারণ করা একজন চেয়ারম্যানের পক্ষে কি আদৌ সম্ভব? আমি সাংবাদিক ভাইদের মাধ্যমে জানতে চাই আসমা খাতুনের এহেন দুর্নীতির সাথে কি চেয়ারম্যান সাহেব কি নিজেই জড়িত? আমি এব্যাপারে জেলা প্রশাসক মহোদয়, পুলিশ সুপার সহ প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

















